পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী কালনা শহরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। আনুমানিক ত্রয়োদশ শতক নাগাদ কালনা ছিল বাংলার সুলতানদের এক সামরিক ঘাঁটি। সাথে নদীপথে বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবেও এ জায়গাটির উল্লেখ পাওয়া যায়। অবশ্য তখন সম্ভবত কালনা নামটির উদ্ভব হয়নি। তখন স্থানটি পরিচিত ছিল " অম্বয়া" বা "অম্বিকা" নামে যার উৎপত্তি কালনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী, মা কালীর অপর রূপ দেবী অম্বিকার নাম অনুসারে। অবশ্য কালনার যে দ্রষ্টব্য গুলি দেখতে আমরা যাই সেই মন্দিরগুলো মূলত গড়ে ওঠে সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝ বরাবর, বর্ধমানের মহারাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায়। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতির সাথেও জড়িত আছে কালনার ইতিহাস। কালনায় ঘুরতে আসলে একটা কথা মাথায় রাখবেন, দুপুর বারোটা থেকে চারটা পর্যন্ত মন্দির প্রাঙ্গণ খোলা থাকলেও বেশিরভাগ মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে।
Ryask Tourism (An ISO 9001 : 2015 Company) Is A Community Based Tourism Provider In India. Recognised by Ministry Of Tourism, Govt Of India.
Thursday, December 21, 2023
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী কালনা শহর - Kalna City Tour From Kolkata
কালনাতে সংক্ষেপে বিবরণ -
১) নব কৈলাশ মন্দির :- কালনার মুখ্য আকর্ষণ, বর্ধমানের মহারাজা তেজ চাঁদ বাহাদুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৮০৯ সালে নির্মিত ১০৮টি শিব মন্দির। সমকেন্দ্রিক দুটি বৃত্তের জ্যামিতিক আকারে মন্দির গুলির অবস্থান। বাইরের বৃত্তে ৭৪ টি এবং ভেতরের বৃত্তে ৩৪ টি মন্দির আছে। বাইরের বৃত্তের মন্দিরগুলির শিবলিঙ্গগুলি অল্টারনেটলি সাদা এবং কালো। ভেতরের বৃত্তের সব শিবলিঙ্গই সাদা রঙের। এই মন্দির গুলির বাইরের প্যানেলে একসময় টেরাকোটার কাজ থাকলেও এখন অবশিষ্ট নেই প্রায় কিছুই।
২) রাজবাড়ি কমপ্লেক্স :- নবকৈলাশ মন্দির শ্রেণী দেখার পর রাস্তার ওপারেই রাজবাড়ী কমপ্লেক্স। এতে রয়েছে বেশ কিছু মন্দির। এই চত্বরটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং বেশ সুন্দর করে সাজানো। এখানে প্রবেশ করার সাথে বাম দিকে রয়েছে একটি কামান। আর তারপরেই প্রতাপেশ্বর শিব মন্দির। আকারে ক্ষুদ্র হলেও কালনার সব কটি মন্দিরের মধ্যে এই মন্দিরের টেরাকোটার কাজ সবচেয়ে সুন্দর এবং অপেক্ষাকৃত পরবর্তীতে নির্মাণকাল হবার জন্য মন্দিরের শৈল্পিক নমুনা গুলি অনেকাংশে অক্ষত আছে। শিল্পকলার মধ্যে আপনাদের নজরে আসবে মহিষাসুরমর্দিনী, রাম রাবণের যুদ্ধ, কৃষ্ণ লীলা ইত্যাদি।
প্রতাপেশ্বর মন্দিরের লাগোয়াই রয়েছে রাসমঞ্চ। আর তারপরেই একটি বাউন্ডারি ওয়ালের ঘেরাটোপের মধ্যে লালজী মন্দির। এখানে পূজিত হন রাধাকৃষ্ণ। 1749 সালে বর্ধমানের রাজা কীর্তি চাঁদ বাহাদুর তার মাতা ব্রজকিশোরী দেবীর জন্য এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরটি ২৫টি চূড়া বিশিষ্ট। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে পশ্চিমবঙ্গে মোট পাঁচটি এই ২৫ চূড়া বিশিষ্ট মন্দির আছে, যার মধ্যে তিনটির অবস্থান কালনাতেই। লালজী মন্দিরের সামনে নাট মন্দির। মন্দিরটির গায়ে এককালে টেরাকোটার সুন্দর কাজ থাকলেও কালের প্রকোপে তা অবলুপ্ত হওয়ার পথে। লালজী মন্দির কমপ্লেক্স এই আরেকটি মন্দির আছে যার নাম গিরি গোবর্ধন মন্দির।
লালজী মন্দির থেকে বেরিয়েই বাঁদিকে চোখে আসবে পাঁচটি ছোট ছোট আটচালা মন্দির এবং রুপেশ্বর মন্দির। একটু এগোলেই কৃষ্ণচন্দ্র মন্দিরে। নাম থেকেই পরিষ্কার এটিও রাধাকৃষ্ণের মন্দির। এই মন্দিরটিও ২৫টি চূড়া বিশিষ্ট। ১৭৫১ সালে বর্ধমানের মহারাজা ত্রিলোক চাঁদ তার মায়ের জন্য এই মন্দিরটি তৈরি করেন। কৃষ্ণচন্দ্র মন্দিরের জগমোহনটি অপূর্ব সুন্দর টেরাকোটার কাজে শোভিত। রাজবাড়ি কমপ্লেক্স থেকে বাইরে আসলে ডানদিকে এবং বাঁদিকে দুটি ছোট ছোট মন্দির দেখা যায় যেগুলির নাম যথাক্রমে জলেশ্বর এবং রত্নেশ্বর মন্দির।
সিদ্ধেশ্বর কালীবাড়ি যেখানে পূজিত হন কালনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী অম্বিকা। মায়ের মূর্তিটি মনে ভক্তি এবং সম্ভ্রম জাগাবে। ১৭৪১ সালে বর্ধমানের মহারাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই মন্দিরটির সংস্কার হলেও এক শিলালিপি থেকে জানা যায় মূল মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল ১৬৬৩ সাল ( নাকি শকাব্দ ? আমি নিজে অনেক সার্চ করেও নিশ্চিত হতে পারলাম না। )। মন্দিরের নির্মাণ জোড় বাংলা স্টাইলের। মন্দির নির্মাণের কারিগর হিসেবে রামহরি মিস্ত্রির নাম উল্লেখিত আছে। আবার ১৮৪৯ সালে নির্মিত প্রতাপেশ্বর মন্দিরের নির্মাণ কারিগর হিসেবেও রামহরি মিস্ত্রির নাম উল্লেখিত আছে। প্রায় ২ শতকের পার্থক্যে একই ব্যক্তি কি করে দুটি আলাদা আলাদা মন্দিরের নির্মাণ কারিগর হতে পারেন, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। তবে হতে পারে যে একই নামে দুই আলাদা আলাদা ব্যক্তি ছিলেন।
গোপাল জিউ এর মন্দির। এটিও ২৫ চূড়া বিশিষ্ট মন্দির।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Kolkata to Gangasagar Fixed Departure Package
We provide Complete Kolkata to Gangasagar Fixed Departure Package for all coming pilgrims. Our Company provide private vehicle for trans...

-
KOLKATA CITY TOUR BY DOUBLE DECKER BUS DOUBLE DECKER BUS RIDE BY WEST BENGAL TOURISM Welcome to an...
-
Best Nature Camp in Odisha, Eco Tours in Odisha lets you experience the natural beauty of odisha. Enjoy exploring nature and delight life at...
-
Kolkata City Tour by West Bengal Tourism Start Time: 02.00 PM End Time: 05.30 PM Tariff: Rs.499/- Lower Deck only per person Tariff: Rs.64...
No comments:
Post a Comment
Please Do Not Entry Any Spam Link In Th Comment Box